Thursday, December 1, 2022

katzronnie:You’re Invited:JOIN-AARPYLA

অগ্রহায়ণের শেষ দিন থেকে পৌষের শেষ দিন অবধি রাঢ় বাংলার গ্রামে গ্রামে এই টুসু পূজিত হন। গ্রামের একান্নবর্তী পরিবারের মেয়েরা বা দু-চারটি ছোট ছোট পরিবারের মেয়েরা একসাথে জড়ো হয়ে প্রতি সন্ধ্যায় শুরু করে টুসু আরাধনা। এ দিন মাঠ থেকে নতুন ধানের একটা গোছা মাথায় করে আনেন পাড়ার মেয়েরা। কুমোরদের বিশেষ কায়দায় তৈরি পোড়া মাটির খোলায় ধানের তুষ দিয়ে তার উপর গাঁদাফুল সাজিয়ে তৈরি করা হয় টুসুখোলা। সন্ধ্যা হলে অবিবাহিত মেয়েদের দল তুষের উপরে রাখে আলো-চাল, দূর্বাঘাস, সর্ষে, বাসক, আকন্দের মতো ফুল। তার পরে পাত্রটিকে হলুদ টিপ পরিয়ে পিঁড়ির উপরে বসিয়ে বাড়ির উঠোনে রেখে প্রদীপ জ্বালিয়ে তার চারদিকে বসে শুরু হয় গানের ঐক্যতান। দেবীর উদ্দেশে চিঁড়ে, গুড়, বাতাসা, মুড়ি, ছোলা ইত্যাদি ভোগ নিবেদন করেন। পাড়ার অবিবাহিত মেয়েরা সন্ধ্যায় এক সঙ্গে টুসু গান গেয়ে তাঁদের সুখ দুঃখের কথা বলে। যোগ দেয় বাড়ির কচিকাঁচা থেকে বয়স্কা মহিলারাও। পৌষের শেষ চার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চার দিনের প্রথম দিনকে বলা হয়ে থাকে চাউড়ি। এ দিন বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় চালগুড়ি। বাড়ির মেয়েরা গোবর মাটি দিয়ে উঠোন নিকোন। দ্বিতীয় দিন বাউড়ি। সে দিন তৈরি হয় নানা আকারের, নানা পিঠে। রাত জাগতে হয়। সব বাড়ি আলোয় সেজে ওঠে। এই প্রশ্নটার উত্তর যেকোনো বাচ্চাও খুব সহজেই দিতে পারবে। কিন্তু বিজ্ঞানের কাজই হলো যেকোনো বিষয়কে জটিলভাবে চিন্তা করা, যেমনটা বাকি আমজনতা সচরাচর করে না। তাইতো বিজ্ঞানী ডারউইন এটা নিয়েও গবেষণা করতে ছাড়েন নি।। ডারউইন বিভিন্ন গাছের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও বিস্তর গবেষণা চালান এটা দেখার জন্য যে গাছ সুরেলা শব্দ শুনে কোনো পতিক্রিয়া করে কিনা? কিন্তু তিনি সফল হননি। পরে অবশ্য তিনি তার পরীক্ষাকে "বোকার পরীক্ষা" নামে অবহিত করেন😐। বাই দা রাস্তা, আমি এখন আপনাদের একটা মজার তথ্য বলি যেটা বেশিরভাগ মানুষই হয়তো জানেন না। পৃথিবীতে একটা গাছ আছে নাম তার "ড্যান্সিং ট্রি"। নামটা শুনেই হয়তো বুঝতে পেরে গেছেন কী বলবো। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন গাছটা যেকোনো সুরেলা শব্দ শুনে নাচানাচি শুরু করে দেয়।
You're Invited to Save with AARP
»» Click Here ««


No comments:

Post a Comment